নড়াইল জেলার, লোহাগড়া উপজেলার ২ নং লাহুড়িয়া ইউপির, রাজাপুর উত্তরপাড়া গ্রামের মৃত বক্কার বিশ্বাসের ছেলে কাস্টমস কর্মী বিলায়েত বিশ্বাস।

সরেজমিন তার গ্রামবাসীর কাছে তদন্ত পূর্বক জানা যায়, ছাত্র জীবনে খুব একটা ভালো ছাত্র ছিলেন না তিনি, বড় ভাইয়ের বাসায় থেকে কোনমতে এসএসসি পাশ করেন তার বাবার মৃত্যু কালে বসতভিটা ছাড়া কিছুই রেখে যেতে পারেননি। কিন্তু কাস্টমসে চাকুরির পর যেন বিলায়েত বিশ্বাসের আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হতে শুরু করে।

তিনি বর্তমানে ঢাকা বিমান বন্দরে কাস্টমস হাউজে কর্মরত আছেন। এর আগে ছিলেন বেনাপোল কাস্টমসে, বেনাপোলে কর্মরত থাকাকালীন সেখানে জমি ক্রয় করেন, তারপর কিছুদিন যেতে না যেতেই আরো ৪ টি জমি ক্রয় করেন যশোর শহরে। তার মধ্য ২ টি জমিতে তিনি বিলাসবহুল বাড়ি তৈরি করেছেন। তার নিজ উপজেলা লোহাগড়াতেও রয়েছে চাকুরি হওয়ার পর ক্রয় করা ২ টি জমি। বেনাপোলে খোঁজ নিয়ে জানা যায় সেখানে কর্মরত থাকাকালীন অর্থের বিনিময়ে অবৈধ ভাবে সোনা, মাদক সহ বিভিন্ন পণ্য পাচারে সহায়তা করে আসছিলো, বিষয়টি জানাজানি হলে সে কৌশলে ঢাকা কাস্টমস হাউজে বদলী হয়ে যায়। ঢাকা কাস্টমসে কর্মরত কিছুদিনের মধ্যই ঢাকা আশকোনা হাজী ক্যাম্পের কাছে নিজ নামে একটি ফ্লাট ক্রয় করেন আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হওয়া এই বিলায়েত বিশ্বাস, বর্তমানে তিনি ঐ ফ্লাটে বসবাস করেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ঢাকাতেই কাস্টমস কর্মী বিলায়েত বিশ্বাস একাধিক ফ্লাট ক্রয় করেছেন, গড়ে তুলেছেন নিজ- নামে এবং পরিবার বর্গের সদস্যদের নামে অবৈধ সম্পদের পাহাড়। হযরত শাহজালার বিমানবন্দরে বিভিন্ন সোনা পাচার কারবারিদের সাথে কাস্টমস কর্মী বিলায়েত বিশ্বাসের প্রত্যক্ষ পরোক্ষ ভাবে জড়িত থাকার অভিযোগ পাওয়া যায়। কিছুদিন আগে ঢাকা কাস্টমসের গোডাউন থেকে ৫৫ কেজি সোনা চুরির ঘটনায় বিলায়েত বিশ্বাসকে প্রাথমিক ভাবে অভিযুক্ত করা হয়।

নড়াইল জেলার লোহাগড়া উপজেলার কাশিপুর ইউপির ইশানগাতি এলাকা থেকে কাস্টমসে চাকুরি দেওয়ার কথা বলে একাধিক ব্যক্তিরকাছ কয়েক লক্ষ টাকা আত্নসাৎ এর অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে তার বিভিন্ন অপকর্মের কারনে দুদকে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হওয়া কাস্টমস কর্মীর সাথে ফোনে গঠনমূলক ভাবে অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বিভিন্ন ভাবে এড়িয়ে গিয়ে ফোন কল কেটে দেন, তার পর আর ফোন কল রিসিভ করেননি তিনি।